ব্লাড সম্পর্কে বিস্তারিত

আমাদের সাথে যোগাযোগ করার নাম্বার 

 প্রস্তুত যদি থাকে দুইজন রক্তদাতা...

থাকবে গর্ভবতী মায়ের প্রাণের নিশ্চয়তা...

একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তের প্রয়োজন হতে পারে এটা ডেলিভারী তারিখের ৯ মাস আগে থেকেই আপনি জানেন... সুতরাং, মনে করে আগে থেকেই ২ জন রক্তদাতা খুজে রাখুন...

বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত রক্তদাতাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে বলুন যেন গর্ভবতীর যেকোনো শারীরিক জটিলতায় উনারাই প্রথম এগিয়ে আসতে পারে...


কেন রক্তদান করবেন?

১. প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে !

২. হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে।

৩. নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম।

৪. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

৫. দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়।

৬. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।’

৭. নিজের মাঝে একধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন । "আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম" এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি :)

কারা রক্তদান করতে পারবেন?

১) ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের যেকোনো সুস্থদেহের মানুষ রক্ত দান করতে পারবেন।

২) শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন

৩)  আপনার ওজন অবশ্যই ৫০ কিলোগ্রাম কিংবা তার বেশি হতে হবে।

৪) চার (৪) মাস অন্তর অন্তর রক্তদান করা যায়।

৫) রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।

৬) শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না।

৭) রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।

৮)  আপনাকে চর্মরোগ মুক্ত হতে হবে।

৯) মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না।

১০)  আপনাকে অবশ্যই হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইডস, ক্যান্সার, যক্ষা, সিজোফ্রেনিয়া এবং ম্যালেরিয়া রোগমুক্ত হতে হবে। তবে কিছু রোগ আগে যেগুলোতে আক্রান্ত রোগীরা নির্দিষ্ট সময় পর রক্ত দিতে পারেন। যেমন, টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগী-১২ মাস, ম্যালেরিয়ার রোগী-তিন মাস পর রক্ত দিতে পারবেন।

১১) কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। যেমন- এ্যান্টিবায়োটিক।


সুপার ডোনার” - যে রক্তদাতা গভীর রাতেও রক্তদান করতে প্রস্তুত, হোক না সেটা রাত ১২ টা, কিংবা হোক না সেটা রাত ৩টা - আর দিনে তো অবশ্যই৷ ২৪ ঘন্টাই রক্তদানে প্রস্তুত এমন রক্তদাতারাই হলেন আমাদের "সুপার ডোনার"৷

“দুঃসাহসী  ডোনার” - যে রক্তদাতা মুমূর্ষু রোগীর রক্তের প্রয়োজনে দেশের যেকোন প্রান্তে যেতে প্রস্তুত, হোক না সেটা বাসা থেকে ১০ মাইল দূরে, কিংবা ১০০০ মাইল দূরে, রক্তের প্রয়োজনে এই রক্তদাতা সেখানেই ছুটে যেতে প্রস্তুত৷ এক জেলা থেকে আরেক জেলায়, চেনা - অচেনা যেকোন প্রান্তে, দুঃসাহসী মনোবল এবং ইচ্ছায়...  কোন দূরত্বই দমিয়ে রাখতে পারে না এমন রক্তদাতাদের৷ মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচানোর ইচ্ছা শক্তির কাছে কোন দূরত্বই আসলে দূরত্ব নয় তাদের জন্য৷

Comments

Popular posts from this blog

আজ আমাদের প্রিয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মিরাজ ভাইয়ের জন্মদিন

রক্তদান ডোনার ফর্রম

মে মাসের রক্তদান কাজকর্ম এর হিসাব